শিরোনাম ::
‘জীবনে ফেলে আসা রাতগুলোর মধ্যে ওইটাই জঘন্যতম রাত’ বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে মাস্কের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন ইউনূস চবি প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করা ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ১১ ছাত্রীসহ মোট ১২ জন বহিষ্কৃত সত্যিই কি সাইফের হামলায় পেছনে কারিনা, সন্দেহ বাড়ছে ৮ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি কক্সবাজারে যাত্রী সেজে গাড়ি ছিনতাই কক্সবাজার সীমান্তে চোরাচালান ঠেকাতে কঠোর নজরদারির নির্দেশ কুতুবদিয়ায় ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা আটক চকরিয়ায় টিসিবির খাদ্য পন্য বিক্রি শুরু সুবিধা পাচ্ছে কার্ডধারী ২০১৪৫ পরিবার রামুতে শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

৮ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দীর্ঘ ৭ বছর ৯ মাস পর হাইকোর্টের আদেশে জেলেরা মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে ৫টি শর্ত।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো পত্রের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সিভিল স্যুট শাখার সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রিট পিটিশনের রুলের আলোকে নাফনদীতে বৈধভাবে মাছ ধরা কার্যক্রম চালু করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

শর্তসমূহ হল— ১. সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানায় অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে। ২ . জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির ৫টি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন/পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ-ধরা-শেষে-ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশিতে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না। ৩. কোনোক্রমে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। ৪. মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। যাতে কোনক্রমে নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে। ৫. এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

নাফনদীতে মাছ ধরার অনুমতিপত্রটি হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে নাফ নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ৯ মাস পরে জেলেরা নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারবেন।

টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের জালিয়াপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল গনি বলেন, ৭ বছর ৯ মাস পর নাফনদী খুলে দেওয়া জেলে সম্প্রদায়ের মাঝেও উল্লাস ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।


আরো খবর: