শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

খন্দকার মোস্তাক চক্র এখনও সক্রিয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখতে হবে : এড.সিরাজুল মোস্তফা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেছেন, “খন্দকার মোস্তাকসহ ঘাতকরা বাংলাদেশকে একটি মিনি পাকিস্তানে রূপান্তর করতে চেয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার আড়াই মাস কেবল পার হয়েছে। গোটা দেশের পরিস্থিতি তখনো থমথমে।

এর মধ্যেই খুনিদের রক্তে আরও একবার রঞ্জিত হয় বাংলাদেশ। যারা মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের বিজয়ের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন সেই চার নেতাকে চরম নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই খন্দকার মোস্তাক চক্র এখনো নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।”

বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকালে পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে ‘জেল হত্যা দিবস’ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং জেল হত্যাকারীদের প্রায় সবাই একই মানুষ। জেলা হত্যার পর বাংলাদেশে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারা চলতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে রাজনীতিকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন এবং এখনো করছেন। মানুষের বিশ্বাস বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বানানো কারো পক্ষে সম্ভব হলে সেই ব্যক্তিটি হবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ তাঁর ওপর যে পরিমাণ আস্থা রাখে তা অন্য কারো ওপর রাখে না।”

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, ইউনুছ বাঙালি, এটিএম জিয়া উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, মাঈনুদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এড. তাপস রক্ষিত, সোনা আলী, হাজী এনামুল হক, বদরুল হাসান মিলকি, আসিফ উল মাওলা, ডা. পরিমল দাশ, নাজমুল হোসেন নাজিম, সেলিম নেওয়াজ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, রফিক মাহমুদ, সেলিম উল্লাহ, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, আতিক উল্লাহ কোম্পানী, শাহেদ আলী শাহেদ, নুরুল আলম পেটান, নজরুল ইসলাম, মোর্শেদুল হক চৌধুরী, জানে আলম পুতু, আবদুল মজিদ সুমন, জহিরুল কাদের ভুট্টু, মেজবাহ উদ্দিন, দুলাল দাশ, দীপক দাশ, জাফর আলম, সেলিম ওয়াজেদ, হাবিব উল্লাহ, তাজ উদ্দিন, আবু আহমদ, সোহেল রানা, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, আবদুল্লাহ আল মাসুদ আজাদ, ওসমান গণি টুলু, আজিমুল হক আজিম, ইয়াহিয়া খান, গিয়াস উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিন প্রমূখ।


আরো খবর: