মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়া বরইতলীতে জিন্মিদশায় ২০ পরিবার ইটের দেউয়াল দিয়ে চলাচল পথ বন্ধ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া::

চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে দাপটশালী ব্যক্তির অত্যাচার নির্যাতনে জিন্মিদশায় পড়েছে অন্তত ২০টি পরিবার। স্থানীয় আকতার আহমদ নামের ওই ব্যক্তি পেশিশক্তির জোরে দেড়শত বছরের চলাচলের পথ ইটের দেউয়াল নির্মাণ করে বন্ধ করে দিয়েছেন। এ অবস্থার কারণে গ্রামের ওই ২০ পরিবারের নারী-পুরুষ শিশু থেকে সবাই বর্তমানে জিন্মিদশায় দিনতিপাত করছেন।

ইটের দেউয়াল দিয়ে চলাচল পথ বন্ধ করে দেয়ার কারণে পরিবারের শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজ মাদরাসায় যেতে পারছেনা। এতে তাদের শিক্ষাজীবনেও একধরণের অনিশ্চিয়তা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো হয়রাণির শিকার পরিবার সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি এবং গালিগালাজ করে শাসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরা মঙ্গলবার বিকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অত্যাচার নির্যাতনের শিকার এসব মানুষের ফরিয়াদ শুনে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান লিখিত অভিযোগটির আলোকে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) কে দায়িত্ব দিয়েছেন।

বাদি বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বদরুদ্দোজার ছেলে মিজবাহ উদ্দিন লিখিত অভিযোগে বলেন, দীর্ঘ দেড়শত বছরে ধরে তাঁরা গ্রামের অন্তত ২০টি পরিবার চলাচলের রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত মকবুল আহমদের ছেলে আকতার আহমদ আমাদের সড়ক পথটি ইটের দেউলিয়া নির্মাণ করে বন্ধ করে দিয়েছেন। মুলত আক্তার আহমদের সঙ্গে অপর একটি পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হওয়ার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে চলাচল পথটি বন্ধ করেছে। এই অবস্থায় ২০ পরিবারের নারী-পুরুষ শিশু থেকে সবাই জিন্মিদশায় দিনতিপাত করছেন।

চলাচল পথ বন্ধ করে দেয়ার কারণে পরিবারের শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজ মাদরাসায় যেতে পারছেনা। এতে তাদের শিক্ষাজীবনেও একধরণের অনিশ্চিয়তা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো হয়রাণির শিকার পরিবার সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি এবং গালিগালাজ করে শাসানো হচ্ছে।


আরো খবর: