শিরোনাম ::
কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু উখিয়ার শিক্ষক ইকবাল হত্যার ঘটনায় আটক-১ “নদী ভাঙ্গন ঠেকাও,কোনাখালী বাসীকে বাঁচাও” কক্সবাজারে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে জেপিটিটিসি’র হাউসকিপিং-প্লাম্বিং ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন উখিয়ার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতি! ঈদগাঁওতে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী নিহত সৌদি আরবে গ্যাস বিস্ফোরণে রামুর দুই যুবকের মৃত্যু, স্বজনদের আহাজারি
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় আসামী হলেন বড় ভাইসহ ৪ জন : মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বড় ভাইসহ ৪ জনকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানি বন্ধ এবং নির্দোষ স্বামীর মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য খুরশিদা বেগম নামে এক নারী।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) উখিয়ার কোটবাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহবান জানান তিনি।

খুরশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ। সে আমার ৫ সন্তানের মাথায় হতে রেখে সকলের সামনে বলেছেন যে, মৃত নুরুল ইসলামের রাশেদের মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেনা।

পারিবারিক জমি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। সেদিন চেয়ারম্যানের বিচার উভয় পক্ষ মেনে নিয়ে রায় অনুয়ায়ী আমার শাশুড়ী ৫ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছিল। কিন্তু একটি পক্ষ আমার শাশুড়ীকে ভুল বুঝিয়ে সেদিন আমার স্বামীর সাথে বিচারে যাওয়ায় আমার ভাসুর, আমার চাচা শ্বশুর, জামাইকে আমার দেবরের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যা প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার সামিল।

এছাড়াও আমার দেবরকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। তার সুরতহাল রিপোর্টে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসার আগেই আমার স্বামীসহ ৪জনকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। যা খুবই দু:খজনক।

তিনি বলেন, আমার স্বামী পরিবারের সবার বড় হওয়ায় ছোট ভাইদের পড়ালেখা থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ নিজে বহন করতেন। কখনোই তাদের আলাদা করে দেখেননি। সবসময় তাদের বিপদ-আপদে পাশে থেকে তাদের ছেলের মতো করে আগলে রেখেছেন। কিন্তু এইগুলো কি হয়ে গেল জানিনা।

তিনি আরও বলেন, আমার দেবরের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তা ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছেন। তাই মোবাইলের ফোন কলের তালিকা এবং রেকর্ড চেক করলে হয়তো প্রকৃত রহস্য বের হবে।

বর্তমানে আমি ৫ সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমার দেবরের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তপূর্বক সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটন করতে প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন করছি।


আরো খবর: