যশোর, ১৯ ডিসেম্বর – যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখ ঢাকা একজন আরবি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পাশে দুই জন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে গার্ডের মতো দাঁড়িয়ে আছেন।
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
তবে, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শিক্ষা সচিব দাবি করেছেন, মাদ্রাসার বার্ষিক আঞ্জুমানের (প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের লড়াই সংগ্রামের বিষয়টি অভিনয় করিয়ে দেখিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরতলীর রাজারহাট বিহারি কলোনি এলাকায় ২০১২ সালে যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এখানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এখানে মূলত হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি ডিগ্রি দেওয়া হয়।
এই মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাকফুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে যারা উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত, গজল ও অভিনয়ে ভালো করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্ররা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করে দেখায়।’
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভিডিও দেখছি। মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি প্রতিযোগিতার অংশ। তারা ডামি অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনয় করেছে।’
সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪