দীর্ঘ সতের মাস পর কক্সবাজারের আলোচিত আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুজন মল্লিক (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসানুল ইসলামের আদালতে হত্যার দায় শিকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন সুজন মল্লিক। বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো.আনোয়ার হোসেন আরও জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত সুজন মল্লিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সে আদালতকে জানান ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অপর আসামি দুজনে গাঁজা(মাদক)সেবন করার পর তারা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে এবং সেই উদ্দেশ্যে বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিএডিসি অফিসের সামনের ফাঁকা রাস্তার দিকে কোমরে ২ টি ধারালো ছোড়া নিয়ে অগ্রসর হয়। ওই সময় ভিকটিম আনোয়ার হোসেন বাস টার্মিনাল থেকে চৌধুরীপাড়া পায়ে হেঁটে আসতেছিল তার বাম হাতে কালো রংয়ের ব্যাগ, একটি স্মার্ট ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তার পাশ দিয়ে আসতেছিলো। ভিকটিমকে দেখে সিদ্ধান্ত নেয় মোবাইলটা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিবে। সেই উদ্দেশ্যে আসামি সুজন মল্লিক ও অজ্ঞাতনামা অপর আসামি তাদের হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায়।
এবং বলে যে মোবাইল ও মানি ব্যাগ দিয়ে জোর করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনাইয়া নেবার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেয় এবং আসামি সুজন মল্লিক ও অপর আসামি নির্দয় হয়ে ভিকটিমের শরীরে উপযপুরী ছুরিকাঘাত করে কিন্তু শরীরে ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়েও আসামিরা মোবাইল ও মানিব্যাগ তার কাছ থেকে ছিনতাই করতে পারে নাই। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় খালি হাতে কোম্পানির দেওয়া মোবাইল ও মানিব্যাগে রক্ষিত ৭০০টাকা বাচানোর জন্য আসামীদের সাথে লড়ে গেছেন। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন আসলে আসামীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর মো. আনোয়ার হোসেন চাকুরীর কাজে টেকনাফ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক সংলগ্ন বিএডিসি অফিসের দ্বিতীয় গেইটের সামনে কালভার্টের পূর্ব পার্শে রাস্তার উপর জনৈক পথচারীদ্বয়-সহ আরাে কিছু পথচারী তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকিতে দেখিয়া তাহাকে মুমূর্ষ অবস্থায় দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিন রাতে হাসপাতালে মারা যান।