নেপিডো, ১২ ডিসেম্বর – বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলে নেয়ার পর দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবার রোহিঙ্গা যোদ্ধাসহ সরকারি বাহিনীর শত শত সৈন্যকে আটকের কথা জানিয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনও রয়েছেন বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। খবর মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর।
বুধবার ইরাবতির এক খবরে বলা হয়, গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালায় আরাকান আর্মি। এর পর রাজ্যটিতে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, মংডুর পুরো এলাকার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। শহরটিতে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মংডুর কাছে জান্তার সর্বশেষ ঘাঁটি গত রোববার সকালে দখল করে নেন আরাকান আর্মির সদস্যরা। এটি দখলে তাঁদের দুই মাস লড়াই করতে হয়েছে। ঘাঁটির কমান্ডারসহ জান্তার বেশ কিছু সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত মে মাসে আরাকান আর্মি বলেছিল, মংডু থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বুথিডং শহর দখল করে নিয়েছে তারা।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের কয়েকটি প্রবাসী রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর অভিযোগ, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জোর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে এবং তাঁদের বাড়িঘর লুট করে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তবে আরাকান আর্মি এ অভিযোগকে অপপ্রচার বলে দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতী জানায়, আরাকান আর্মি এখন দক্ষিণ রাখাইনের গাওয়া, তাউনগুপ ও আন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে। ইতিমধ্যে আন শহরে ৩০টি জান্তা ঘাঁটি দখল করেছে তারা। অন্য শহরগুলোতেও এগিয়েছে বিদ্রোহী এ গোষ্ঠী।
জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিদ্রোহী গোষ্ঠী ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে এ গোষ্ঠী গত বছরের অক্টোবর থেকে হামলা চালিয়ে উত্তরের শান রাজ্যের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের নভেম্বর থেকে হামলা চালিয়ে রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৩টির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা।