ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০২ ডিসেম্বর – বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে বসবাস করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ হিন্দুত্ববাদী ভারত কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ মনে করে না। মহান জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের হেজিমনিরও পরাজয় শুরু হয়েছে। আর এটা মেনে নিতে না পেরে ভারত ৫ আগস্টের পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে ঐতিহাসিক শহীদ বাবরি মসজিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজতি প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করছে। অথচ এ দেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদে আছে। এ দেশের আলেম থেকে শুরু করে সংখ্যাগরিষ্ঠরা সবসময় তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। উল্টোদিকে ভারতের সাধুরা মুসলিমদের হত্যার দাবি করে। এই হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য। বাংলাদেশে অবস্থিত হিন্দুরাও এদেশেরই নাগরিক এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে মুসলমানদের প্রকৃত কর্তব্য। তাই বাংলাদশের হিন্দুদের দিকে না তাকিয়ে ভারতে মুসলিমদের দিকে মোদিকে বেশি নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলিম নির্যাতনসহ মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে। যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার। তিনি ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব মুসলিমদের নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। এ দেশের তৌহিদি জনতা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে ভারতীয় হেজিমনিকে উৎখাত করেছে। তারা আর কোনোদিন ভারতীয় হেজিমনি বা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে এদেশে প্রত্যাবর্তন করতে দেবেনা। কারণ ছাত্র-জনতা জানে কিভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ০২ ডিসেম্বর ২০২৪