বরিশাল, ২৩ নভেম্বর – জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, যারা সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে তাদের গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে। তাদের নির্মূল করতে না পারলে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের এই দেশের মাটিতে এনে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
আজ শনিবার দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহিদ পরিবারগুলোর মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তরকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘খুনি হাসিনা সারাজীবন শুধু নিজের পরিবারের গান গাইতে গাইতে ক্ষমতাটাকে আষ্টেপৃষ্টে ধরে রেখেছিলেন। যেখানে গেছেন সেখানেই তার পরিবার নিয়ে কান্নাকাটি করেছেন। তার পরিবারের ১৮ জনই শুধু মানুষ, আর এই দুই হাজার জন মানুষ না! এদেরকে খুন করার সময় তার বুকটা একটুও কাঁপেনি। আজ আমার যে ভাই শহীদ হয়েছে, যে বোন শহীদ হয়েছে, সেই শহীদ পরিবারের বাবা, মা, ভাই, বোনকে আমরা কীভাবে সান্তনা দেব।’
সারজিস বলেন, ‘খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্ন, তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা এটা করতে দেব না। খুনি হাসিনা সারাজীবন ১৯৭৫ সালের গল্প বলে ক্ষমতাকে সবসময় সুদৃঢ় করার চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি দুই হাজার মানুষকে কীভাবে খুন করলেন। তিনি যদি দরদ বোঝেন তাহলে এ খুনগুলো কীভাবে করতে পারেন? যে রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে সামনে রেখে তারা এ কাজগুলো করেছে, তাদের কোনো অধিকারই নেই এই বাংলাদেশে চলার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে সব ভুলে যাই, ওই ষোল বছর ভুলে গেছি, আমরা ওই ৩৬ দিন ভুলে গেছি, এখন আমরা নতুন কিছু নিয়ে আছি। কিন্তু এই জবাব খুনি হাসিনাকে দিতে হবে, খুনি হাসিনার দোসরদের জবাব দিতে হবে। আর এই বিষয়গুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত একটি যৌক্তিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই বাংলাদেশে তাদের পুনর্বাসনের কথা যারা বলে, আমরা মনে করি খুনি হাসিনার মতো তারা আরেক ধরনের ক্ষমতা পিপাসু লোভী। এই বাংলাদেশে তাদের বিচার হওয়ার প্রশ্নে তাদের একটা কথা হওয়া উচিত-তাদেরকে পুনর্বাসনের প্রশ্নে তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা এটা আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও করতে দেব না।’