বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ফের সায়েন্সল্যাবে অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪


ঢাকা, ৩০ অক্টোবর – সাত কলেজ নিয়ে আলাদাভাবে স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বুধবারও (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজে থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এদিকে সড়ক অবরোধের ফলে ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি সরকার মেনে নিচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। সরকার যৌক্তিক সমস্যার সমাধান না করে আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। আমরা সড়ক অবরোধ করে জনগনকে ভোগান্তি দিতে চাই না। আমরা চাই আমাদের দাবি মেনে নিয়ে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় রুপান্তর কমিশন গঠন করুক। আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘অধিভুক্তি নাকি মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, মানি না, মানবো না’, ‘আর নয় দাসত্ব, হতে চাই স্বতন্ত্র’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক’, ‘নিপীড়ন নাকি অধিকার, অধিকার, অধিকার’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

ঢাকা-কলেজ, ছাত্রছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়, আন্দোলন, শিক্ষা-মন্ত্রণালয়৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের ফের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়। এরপর গত ২২ অক্টোবর সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই কমিটির প্রত্যাখ্যান করেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু মাত্র একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবেন।

৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন। যাতে করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ৩০ অক্টোবর ২০২৪



আরো খবর: