মুম্বাই, ১৮ অক্টোবর – ফের সলমনের নামে হুমকি চিঠি। মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্য়াপে সলমনকে খুন করার হুমকি চিঠি পাঠাল বিষ্ণোই গ্যাং। আর সেই চিঠিতেই বিষ্ণোই গ্যাং স্পষ্ট লিখল, সলমন খুন হবেই। তাঁর অবস্থা বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ হবে। এর সঙ্গে সেই চিঠিতে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফ থেকে লেখা হল একমাত্র ৫ কোটি টাকা দিলেই বাঁচতে পারে সলমনের প্রাণ! এই পরিমাণ অর্থ দিলেই বিষ্ণোই গ্যাং থেকে ছাড়া পাবেন বলিউডের ভাইজান।
অবশেষে পুলিশের জালে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শার্পশুটা সুখা। গত এপ্রিল মাসে বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় মূলচক্রী ছিলেন এই শুটারই। বহুদিন ধরে পুলিশের চোখের আড়ালে গা ঢাকা দিয়েছিলেন শুটার শুখা। এএনআই সংস্থার থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার অবশেষে হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুম্বইয়ে।
সলমনের বাড়ি গ্যালাক্সিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সম্প্রতি সলমনের বয়ান রেকর্ড করল মুম্বই পুলিশ। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে কথা হয় সলমনের। তবে শুধু সলমনই নয়, এই কাণ্ডে সলমনের ভাই আরবাজেরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে খবর।
১৪ এপ্রিল ঘটেছিল ঘটনা। সলমন খানের বাড়ি অর্থাৎ মুম্বই গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে একাধিক গ্রেপ্তারি হয়েছে। যার মধ্যে একজনের আবার হাজতেই মৃত্যু হয়। মৃতের নাম অনুজ থাপন। তাঁর মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে বম্বে হাই কোর্টে হয় মামলা। অভিযোগ পত্রে সলমন খানের (Salman Khan) নামও ছিল। সেই নাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সলমন খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পালকে (২১) গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। ধৃতদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই দুজনকে জেরা করেই তাপি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলার কথা জানতে পারে পুলিশ। নদী থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি বন্দুক ও তিনটি ম্যাগাজিন। এপ্রিল মাসেই আবার পাঞ্জাব থেকে সোনু কুমার বিষ্ণোই ও অনুজ থাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মূলচক্রী সুখা।