[ad_1]
লক্ষ্মীপুর, ১৪ অক্টোবর – লক্ষ্মীপুরে একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের কয়েকজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর আহত ১০ জনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন– মো. হৃদয় (১৯), মো. ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটলে বাসের এক পাশ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় মেঘনা পরিবহনের একটি বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। বাসটি রামগতি-লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী রুটে চলাচল করে। দুর্ঘটনার পর গ্যাস পাম্প এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে ও পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়। তাৎক্ষণিক ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিন জন মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকট শব্দে তাৎক্ষণিক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাম্পে অপেক্ষারত চালকরা ভয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিন জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, তিন জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদের আমরা চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আহত আছেন অন্তত ২০ জন। এর মধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা নেই। এ ছাড়া অন্যরা বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন। আমরা অধিকাংশ রোগীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১৪ অক্টোবর ২০২৪
[ad_2]