পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৯টি মন্ডপে পালিত হবে দুর্গোৎসব। ইতোমধ্যে মন্ডপের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে মোট ৯টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। ৯টি মন্ডপের মধ্যে ৬টিতে আয়োজন হয় প্রতিমা পূজা বাকি ৩টিতে হবে ঘট পূজা।
শিলখালী ইউপিতে ২টি প্রতিমা পূজা, বারবাকিয়া ইউপিতে ২টি প্রতিমা পূজা ১টি ঘট পূজা, পেকুয়া সদর ইউপিতে ২টি প্রতিমা পূজা ২টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ডপগুলোর মধ্যে শিলখালী শীলপাড়া সার্বজনীন হরি মন্দিরে প্রতিমা পূজা। শিলখালী শীলপাড়া বিষ্ণু মন্দিরে প্রতিমা পূজা। বারবাকিয়া ইউনিয়নে শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবার মন্দিরে প্রতিমা পূজা, বারবাকিয়া ইউনিয়নে উত্তর নাথ পাড়া হরি মন্দিরে প্রতিমা পূজা। বারবাকিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ঘট পূজা।
পেকুয়া সদর কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা পূজা। পেকুয়া সুশীল পাড়া সার্বজনীন মন্দিরে প্রতিমা পূজা। ডাক্তার রনধীর বিশ্বাস এর বাড়ি ঘট পূজা। রূপক বিশ্বাস এর বাড়ি ঘট পূজা। শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা সজ্জিত করার কাজ শেষ করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শেষ মুহূর্তে পূজা উদযাপনে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।
আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৩ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
পেকুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে আমাদের পূজা উদযাপন করা হবে। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল মোস্তফা জানান,, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পূজামন্ডপে কোন ভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্য নিয়ে পুলিশের টহল টিম থাকবে। পূজামন্ডপ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোন ভাবেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানাতে না পারে সেই জন্য পূজামন্ডপে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল টিম থাকবে।
###