শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সহিংসতার মামলার দুই আসামীর দেখা মিললো ইউপি সভায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

৫ আগস্ট ২০২৪,স্বৈরাচার সরকার পতনের ঐতিহাসিক দিন। দুপুরে শেখ হাসিনা ভারত চলে গেলেও বিকেলে তার দলের অনুসারীরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় কক্সবাজারের উখিয়াতে ব্যাপক সহিংসতা, ভাঙ্গচুর-নাশকতা চালায়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সহিংসতায় জড়িতরা প্রত্যেকেই ছিলো ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে।

এঘটনার প্রেক্ষিতে রাজাপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুরুল আলম বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার নামীয় ৩১ আসামীর মধ্যে ১৫ নং ক্রমিকে রয়েছে রাজাপালং ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য ও ফলিয়াপাড়ার বাসিন্দা শামসুল আলম সওদাগর এর পুত্র আবদুল হকের নাম।

উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য এবং ঘিলাতলীর মৃত আলী আহমেদের পুত্র সরোয়ার কামাল পাশা এই মামলার ১৭ নম্বর আসামী।

তারা দুইজনই উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের বিশেষ সভায়।

পরিষদের মিলনায়তনে হওয়া এই সভায় সাদা পাঞ্জাবী পরিহিত সরোয়ার ও গেঞ্জি পরিহিত আবদুল হক অংশ নিলেও প্রায় পুরোটা সময় নিষ্প্রাণ ছিলেন বলে জানান উপস্থিত এক ইউপি সদস্য।

এতদিন অজ্ঞাত থেকে হঠাৎ প্রকাশ্যে আসা দুই বিতর্কিত ও অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির এমন উপস্থিতি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে জানা গেছে, তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। বিষয়টির সত্যতা যাচাই ও আন্দোলনে ভূমিকা নিয়ে জানতে চেয়ে প্রতিবেদক তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসাইন জানান, ” সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আভিযানিক তৎপরতা চলছে।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখা জাহাঙ্গীর আলম মোরশেদ নামে স্থানীয় এক ছাত্রনেতা জানিয়েছেন, ” আন্দোলনে জড়িত থাকায় আমার দোকান পুড়িয়ে ফেলে পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে হাসিনার দোসররা, এঘটনায় আমি মামলাও করেছি।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত উখিয়ার মাত্র দুইজন কে আটক করতে পেরেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে সকল নাশকতাকারী আইনের আওতায় আনা জরুরি আর তা না হলে আন্দোলনে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।


আরো খবর: