[ad_1]
জেরুজালেম, ২০ আগস্ট – ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪০ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। অন্যদিকে গাজার হাসপাতালগুলো সতর্ক করে বলেছে, হাসপাতালে জ্বালানির ঘাটতির কারণে শিশুরা মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।সোমবার হতাহতদের মধ্যে গাজা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন ১৩ জন। আল জাজিরা আরবি জানিয়েছে, পশ্চিম গাজা শহরের জাতিসংঘ পরিচালিত শাতি শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হলে অন্তত নয়জন নিহত হন।এদিকে আগের দিন উত্তর গাজা শহরের আজ-জারকা এলাকায় একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র (প্যালিনফো) জানিয়েছে।প্যালিনফো আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণ গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় আবাসিক বাড়িগুলোতে গোলাবর্ষণ করছে।উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯২ হাজার ৭৪৩ জন মানুষ আহত হয়েছেন।উত্তর গাজায় পৃথকভাবে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘নার্সারি এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ১১ অসুস্থ শিশু জ্বালানির ঘাটতির কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে’। মূলত জ্বালানির ঘাটতির কারণে হাসপাতালটি বন্ধের হুমকিতে রয়েছে।আল জাজিরার হিন্দ খুদারি গাজা থেকে জানিয়েছেন, নার্সারি এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে থাকা শিশুদের মধ্যে কিছু শিশু যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তর গাজায় জ্বালানি প্রবেশ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে আবু সাফিয়া সতর্ক করে দিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্বালানি ও ওষুধ ভর্তি একটি কনভয় রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই কনভয়টি এখনও চেকপয়েন্টে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সুতরাং সেই কনভয় কখন হাসপাতালে পৌঁছাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।’ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজার অন্তত ৩৩টি স্বাস্থ্য অবকাঠামো বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি হাসপাতালগুলোর ‘কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ হাজার লিটার জ্বালানি প্রয়োজন।’মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের মুখপাত্র খলিল আল-দেগরান বলেছেন, মিসরের সাথে রাফা সীমান্ত ক্রসিং ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় তাদের হাসপাতালটি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের তীব্র ঘাটতি অনুভব করছে।তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের কর্মীরা আহত রোগীদের ‘সবচেয়ে মৌলিক চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তাও’ সরবরাহ করতে পারে না এবং এটিই ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত যে- গাজায় সমগ্র স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে।’সূত্র: ঢাকা পোস্টআইএ/ ২০ আগস্ট ২০২৪
[ad_2]