নয়াদিল্লি, ২৯ জুলাই – জেলে বন্দি ১০ হাজার ৫০০ জনকে সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করে জেল কর্তৃপক্ষ। সবকিছুই ঠিকই ছিল, তবে রিপোর্ট হাতে আসতেই বেড়েছে উদ্বেগ। এই জেলেই ১২৫ জন বন্দি এইচআইভি (এইডস) ভাইরাসে আক্রান্ত।
চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লির তিহারর জেলে। এই জেলের অন্তর্গত তিহার, রোহিণী ও মান্ডলি জেল সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে এ তথ্য সামনে আসার পরই শোরগোল পড়ে গেছে। কেননা এই জেলেই বন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অনুব্রত মণ্ডলের মতো ভিভিআইপিরা।
জানা গেছে, তিহার় জেলের অন্তর্গত রোহিনী, মান্ডলিতে সব মিলিয়ে বন্দির সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। তিহারের ডিজির দায়িত্বে রয়েছেন সতীশ গোলচা। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মে ও জুন মাসে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বন্দি মেডিকেল টেস্টের ব্যবস্থা করেন।
এইচআইভি টেস্টও করানো হয় অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার সঙ্গে। পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসার পরই উদ্বেগ। দেখা যায় এইচআইভি আক্রান্ত ১২৫ জন বন্দি। কীভাবে জেলের এতজন বন্দি- এইচআইভি আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, জেলের মধ্যে থাকাকালীন অবস্থায় কেউ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হননি। অপরাধীরা যখন জেলে আসেন তখনই তাদের মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছিল। সেই সময় এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে। নতুন করে কেউ এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন এমন নয়। তবে জেলে এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য বাড়তি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা জেলের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি।
তিহার জেল কর্তৃপক্ষের প্রোটেক্টিভ সার্ভে বিভাগের এইমস ও সফদরজং হাসপাতালের সঙ্গে যৌথভাবে নারী বন্দিদের সার্ভাইকল ক্যান্সারের পরীক্ষাও করানো হয়। এ ছাড়াও বন্দিদের যক্ষ্মার পরীক্ষাও করানো হয়। তবে কারও রিপোর্ট পজেটিটিভ আসেনি।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২৯ জুলাই ২০২৪