৭ মার্চ, বাঙালি জাতির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। একাত্তরের এই দিনে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির জনকের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি। তাদের হৃদস্পন্দনে নাড়া দেয় ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা’র ডাক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ডাক ছিল বাঙালি জাতির জন্য মুক্তির বাণী। ৭ মার্চের সেই ভাষণেরই সফল পরিণতি স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ এখনও গোটা জাতিকে জাগ্রত করে।
এ ভাষণ যেকোনো নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য সব সময়ই আবেদন সৃষ্টিকারী। যে ভাষণে গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বাধিকার, মানবতা ও আপামর জনতার কথা বলা হয়েছে। দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সে ভাষণ আজ সার্বজনীন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পথনির্দেশনা, পথপরিক্রমা এবং কীভাবে অর্জন করতে হবে, কীভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করতে হবে, তার প্রতিটি কথা উনার ওই বক্তব্যের মধ্যে আছে। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে, প্রেরণার মধ্য দিয়ে ৯ মাসের স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এ দেশটি অর্জন করেছি।
৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিল জাতির জনকের অলিখিত বক্তৃতা। যেখানে স্বল্প সময়ে কোনো পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতির স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা স্পষ্ট ছিল। এই ভাষণই মূলত বাঙালির স্বাধীনতার সনদ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এ ভাষণের রেকর্ড ধ্বংস করতে তৎপরতা ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের। তবে, সফল হয়নি হানাদার বাহিনী ও ষড়যন্ত্রকারীরা।
নিরস্ত্র একটি জাতি, প্রশিক্ষিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনার পেছনে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল প্রেরণার ও মুক্তির। এখনও জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত হয় নতুন প্রজন্ম।
যমুনা টিভি অনলাইন