শিরোনাম ::
খুনিদের গোড়া থেকে নির্মূল না করলে আবার ষড়যন্ত্র করবে রোহিঙ্গা তরুণদের ‘ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর আরাকান’ এ স্বদেশ ফেরার আকুতি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক চকরিয়ায় মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত চকরিয়া পেকুয়ার প্রবাসি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকল্পে হেল্পডেক্স চালু সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ চকরিয়ার সাহারবিলের জেলে কমল সেন নায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী নিহত: যা জানালো পুলিশ ডেঙ্গু কেড়ে নিলো আরও ১০ জনের প্রাণ ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় ঘুমধুম সীমান্তে ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গাসহ ৪ মাদক চোরাকারবারি আটক
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কিয়ার স্টারমারের জীবনী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কিয়ার স্টারমারের জীবনী


লন্ডন, ০৫ জুলাই – যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে স্যার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। এই বিশাল জয়ের মধ্য দিয়ে ১৪ বছর পরে লেবার পার্টি আবারো ব্রিটেনের রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে আসছে। নির্বাচনে জয়ের ফলে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন স্যার কিয়ের স্টারমার।

চার বছর আগে কট্টর বামপন্থি রাজনীতিবিদ জেরেমি করবিনের জায়গায় লেবার পার্টির নেতৃত্বে আসেন স্যার কিয়ের স্টারমার।

রাজনীতির ময়দানের একেবারে কেন্দ্রে তার দলকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং ভোটে ভালো ফল করার জন্য কাজ করছেন তিনি। প্রতিবেদন বিবিসি বাংলার।

গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে আছে লেবার পার্টি, এবারে জিতলে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে।

রাজনীতির আগের জীবন

আইনজীবী হিসেবে বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের পর স্যার কিয়ের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সংসদ সদস্য হন পঞ্চাশের কোঠায় এসে।

তবে রাজনীতি নিয়ে তার বরাবরই আগ্রহ ছিল। যুবা অবস্থায় তিনি ছিলেন উগ্র বামপন্থি।

১৯৬২ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে একজন, কিয়ের স্টারমার বেড়ে ওঠেন দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের সারে-তে।

শ্রমজীবী শ্রেণির সঙ্গে তার জীবনের যোগের কথা প্রায়ই বলতে শোনা যায় স্যার কিয়েরকে। তার বাবা একটি কারখানার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক হিসেবে কাজ করতেন এবং মা ছিলেন নার্স।

তার পরিবারও কট্টর লেবার পার্টির সমর্থক ছিল, যার প্রতিফলন পাওয়া যায় তার নামে।

স্কটিশ খনি শ্রমিক কিয়ের হার্ডির নাম অনুসারে তার নাম রাখা হয়েছিল। লেবার পার্টির প্রথম নেতা ছিলেন কিয়ের হার্ডি।

বড় হয়ে ওঠার সময় স্যার কিয়েরের পারিবারিক জীবন খুব সুখকর ছিল না। দূরত্ব রেখে চলতেন তার বাবা।

মা জীবনের দীর্ঘকাল ‘স্টিলস ডিজিজ’ নামক এক ধরনের অটো-ইমিউন ডিজিজে ভুগেছেন। রোগের কারণে ধীরে ধীরে হাঁটার এবং কথা বলার ক্ষমতা হারান তার মা। একসময় তার পা কেটে বাদ দিতে হয়েছিল।

১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির স্থানীয় যুব শাখায় যোগ দেন কিয়ের স্টারমার। কিছু সময়ের জন্য উগ্র বামপন্থি একটি পত্রিকা সম্পাদনাও করেছিলেন।

স্যার কিয়ের তার পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি শিক্ষালাভ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। লিডস এবং অক্সফোর্ডে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ব্যারিস্টার হিসেবে মানবাধিকার নিয়ে কাজও করেছেন।

সেই সময় ক্যারিবিয়ান এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্তির জন্য তিনি কাজ করেন।

১৯৯০-এর দশকে একটা বিখ্যাত মামলায়, তিনি দুজন ইকো-অ্যাক্টিভিস্ট বা পরিবেশ আন্দোলনকারীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন যাদের বিরুদ্ধে ‘ম্যাকডোনাল্ডস’ মামলা করেছিল।

২০০৮ সালে স্যার কিয়ের পাবলিক প্রসিকিউশনের ডিরেক্টর এবং ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

যার অর্থ, তিনি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সবচেয়ে সিনিয়র প্রসিকিউটর সরকারি কৌঁসুলি ছিলেন।

২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি চাকরি করেন। ২০১৪ সালে তাকে নাইট উপাধি দেওয়া হয়েছিল।

লেবার পার্টির নেতা

তিনি প্রথমবার সংসদে যান ২০১৫ সালে। লন্ডনের হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসের সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

কট্টর বাম রাজনীতিবিদ জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি তখন বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে।

অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সরকারের কার্যকলাপ নজরে রাখার জন্য স্যার কিয়েরকে ‘শ্যাডো হোম সেক্রেটারি’ (ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন জেরেমি করবিন।

যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেওয়ার পরে স্যার কিয়েরকে ‘শ্যাডো ব্রেক্সিট মন্ত্রী’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর লেবার পার্টির নেতা হওয়ার সুযোগ পান স্যার কিয়ের। লেবার পার্টির জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল এটা।

১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে হেরেছিল ওই দল, যা জেরেমি করবিনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।

পানি ও জ্বালানি কোম্পানির জাতীয়করণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাদানের পক্ষে কথা বলে একটা বামপন্থি প্ল্যটফর্মে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে জয় লাভ করেন স্যার কিয়ের।

সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ০৫ জুলাই ২০২৪





আরো খবর: