কক্সবাজারের পেকুয়ায় মোটরসাইকেল থামিয়ে দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে একটি চাঁদাবাজচক্র। আহতেরা হলেন, সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার মৌলভী আবুল শরীফের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম (৩৮) ও তার ভাই সাইফুল্লাহ (৩৬)। শুক্রবার (৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী ফতেহ আলী মাতবর পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, পশ্চিম গোঁয়াখালী মাতবর পাড়ায় আবাসিক আশ্রায়নে জমির প্লট কেনাবেচা চলছে।পেকুয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুজাহিদ তার জমি (প্লট) ক্রেতা হালিমা সাদিয়াকে দখল হস্তান্তর করতে আসে। সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করার সময় মুজাহিদ ও মাতবর বাড়ির মৃত নুরুল কাইয়ুম চৌং এর ছেলে মো.সোহেল গং এর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ফতেহ আলী মাতবর বাড়ির পাশে আমাদের জমি রয়েছে। সেখানে আবাসিক আশ্রয়ন গড়ে উঠবে। এদিন তাঁর জমি ক্রেতা হালিমা সাদিয়াকে দখল হস্তান্তরের কথা ছিল। জমি পরিমাপ করার সময় সোহেল গং বাঁধা দিলে পরিমাপ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা দু’ভাই মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে মুন্সি তারেকের বাড়ির সামনে পথরোধ করে সোহেলের ছেলে নুর সোবহান ওরফে দুহান, ভাই মানিক, ভাগিনা আরজিবুল তোহা, বোন রিনা সোলতানাসহ ৫-৬ জন লোক দুভাইকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে ও মারধর করে। তারা মারধর করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরো বলেন, সোহেল একজন চাঁদাবাজ। আমার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। চাঁদাবাজি মামলায় কিছুদিন আগে জেল থেকে এসেছে। প্লট কেনাবেচার সময় তাকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দেওয়ায় এবং কারাগারে যাওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের প্রাণনাশ চেষ্টা চালিয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য জানায়,লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।