সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়ায় সরব ৭জন প্রার্থী

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::
আপডেট: সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

গত তিন মাস আগেই উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। উৎসবের আমেজ কেটে উঠতে না উঠতেই এবার আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। আগামি ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন শুরু হবে। কক্সবাজারের পেকুয়ায়ও শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন।

সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী দেবে না বিএনপি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এখনো বলবৎ রেখেছেন বিএনপি। যারা প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি জানিয়েছেন দলটির নেতারা। তবে পেকুয়ায় বিএনপির দুইজন ও জামাত ইসলামির একজন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে সরব রয়েছেন।

এবার দলীয় প্রতীক (নৌকা) নেই ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের। দলীয় প্রতীক না থাকায় নির্বাচনে প্রার্থী হতে আ.লীগের অভ্যন্তরে ব্যাপক তোড়জোর লক্ষ করা যাচ্ছে। পেকুয়া উপজেলায় অন্তত ৭জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। আ.লীগের একাধিক প্রার্থী প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়লেও কিছুটা কৌশলে এগোচ্ছেন বিএনপি। দলীয় নির্দেশনা না থাকায় তাঁরা কৌশলে পা রাখছেন। বাংলাদেশ জামাত ইসলামি নেতা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু এতদিন প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত থাকলেও আজ (সোমবার) সকাল ১১টায় নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে নির্বাচনে অংশ নিবেন না বলে জানিয়েছেন। সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নিবার্চনেও বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী অংশ গ্রহন করবেনা বলে পণ করেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনার প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন না বলে জানিয়েছেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রচার প্রচারণায়। শুরু করেছেন গণসংযোগসহ নানান তৎপরতা। রমজানে তারা ইফতার বিতরণ থেকে শুরু করে সামাজিক নানা কর্মকান্ডে নিজেদের মেলে ধরছেন। হাট বাজার ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে দোয়া চাইতেও দেখা গেছে তাদের।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এবার যে ৭জন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা আ.লীগের সাবেক সদস্য এস এম গিয়াস উদ্দিন, জেলা আ.লীগের সাবেক মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড.আশরাফুল ইসলাম সজীব, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, বর্তমান উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জামায়েত নেতা অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু।

এবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে চারজন প্রার্থী পুরাতন চেহেরা হলেও নতুন মুখ এসেছেন দুজন। ড.আশরাফুল ইসলাম সজীব ও কামরান জাদিদ মুকুট তাঁরা নির্বাচনে নতুন অতিথি। বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, এস এম গিয়াস উদ্দিন ও আবুল কাসেম গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছিলেন। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ভোট করছিলেন আবুল কাসেম। শাফায়েত আজিজ রাজু দুবারের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আগে থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। অন্য প্রার্থীরা রমজানের শেষের দিকে আবার অনেকে ঈদের পরে প্রার্থীতা জানান দিতে গনসংযোগে নেমে পড়েন। তবে সেক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশলে শাফায়েত আজিজ রাজু। তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন নি। এক ধরণের ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো। দলীয় অন্তরকোন্দলে পুঁড়ছেন।
###


আরো খবর: