ওয়াশিংটন, ০৮ মার্চ – ৯২ বছর বয়সে আবারও বাগদান করেছেন মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক। এটি তার ষষ্ঠ বাগদান। পাত্রীর নাম এলেনা জুকোভা। ৬৭ বছর বয়সী এই নারী একজন অবসরপ্রাপ্ত রাশিয়ান আণবিক জীববিজ্ঞানী।
শুক্রবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক তার বান্ধবীর সাথে বাগদান করেছেন বলে তার দল নিশ্চিত করেছে। ৯২ বছর বয়সী এই ধনকুবের তার রাশিয়ান বান্ধবী এলেনা জুকোভার সাথে কয়েক মাস ধরে ডেটিং করছেন বলে জানা গেছে।
বিবিসি বলছে, বাগদানের পর বিয়ের অনুষ্ঠানটি চলতি বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় মারডকের মোরাগা ভিনেয়ার্ড অ্যান্ড এস্টেটে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সর্বশেষ বাগদানটি মারডকের ষষ্ঠ বাগদান হলেও বিয়েটি হবে মারডকের পঞ্চম বিয়ে।
রুপার্ট মারডক গত বছর ফক্স অ্যান্ড নিউজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসই প্রথম তার বাগদানের এই খবরটি সামনে আনে। প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যমটির মতে, চলতি বছরের জুনে মারডকের এই বিবাহ হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে এবং আমন্ত্রণপত্রগুলো ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত বছরের এপ্রিলে আকস্মিকভাবে নিজেদের বাগদান বাতিল করেন রুপার্ট মারডক ও অ্যান লেসলি স্মিথ। সেবছর গ্রীষ্মের শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে সাবেক ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বাগদান বাতিলের পর থেকেই রুশ বিজ্ঞানী এলেনা জুকোভার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত মারডক ডেট করছিলেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
নিজের সাবেক স্ত্রী চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংয়ের আয়োজিত একটি পার্টিতে জুকোভার সঙ্গে মারডকের দেখা হয়েছিল বলে জানা গেছে। মারডকের অন্যান্য সাবেক স্ত্রীরা হলেন- অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা মান, ওয়েন্ডি ডেং এবং মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী জেরি হল।
অন্যদিকে এলেনা জুকোভা এর আগে রাশিয়ান বিলিয়নেয়ার আলেকজান্ডার ঝুকভকে বিয়ে করেছিলেন। আর তাদের মেয়ে দাশা ঝুকোভা একজন শিল্পপতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুবই সক্রিয়। সেই সঙ্গে দাশার আরও একটি পরিচয় হলো, রাশিয়ার ধনকুবের এবং ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসা এফসির সাবেক মালিক রোমান আব্রহামোভিচের স্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বিয়ে হয়েছিল তাদের, এরপর ২০১৭ সালে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, রুপার্ট মারডক ১৯৫০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এবং দ্য সান সংবাদপত্র কিনে নেন। পরে তিনি নিউ ইয়র্ক পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রকাশনাও কিনে নেন।
এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি ফক্স নিউজ চালু করেন। এটি এখন এমন একটি টিভি নিউজ চ্যানেল যা যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউজ কর্প-এর মাধ্যমে মারডক শত শত স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটের মালিক রয়েছেন।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ০৮ মার্চ ২০২৪