জেরুজালেম, ২৬ ফেব্রুয়ারি – ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে কার্যত ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন সরকারের পতন হয়েছে।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর মোহাম্মদ শতায়েহ বলেন, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে নজিরবিহীন সহিংসতা বৃদ্ধি এবং গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও অনাহারের পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি সামনে পরবর্তী ধাপ দেখতে পাচ্ছি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গাজার নতুন বাস্তবতাকে বিবেচনা নতুন সরকারি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন।
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে রদবদল করতে মাহমুদ আব্বাসকে চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শুধু অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করলেও যুদ্ধ শেষে গাজার শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চায় ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশি-বিদেশি চাপের মুখে গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা নিয়ে একট পরিকল্পনা প্রকাশ করলেও সেখানে এমন কোনো কিছুর কথা উল্লেখ করেননি নেতানিয়াহু।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৮২ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৪৩ জন।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪