ব্রাসেলস, ২১ ফেব্রুয়ারি – ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আবারও নিষেধাজ্ঞা দিল। ১৩তম নিষেধাজ্ঞার প্রায় ২০০ অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যারা ইউক্রেন-রাশিয়ার দুই বছরের যুদ্ধে জড়িত।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক হ্যান্ডলে ইইউ প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে থাকা বেলজিয়াম বলছে, ইইউ দূতেরা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার একমত হয়েছেন। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদন দেয়া বড় নিষেধাজ্ঞাগুলোর একটি।
২৭টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এসব নিষেধাজ্ঞায় অনুমোদন দেবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। ২০২২ সালের এ দিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ১৩তম প্যাকেজে একমত হওয়ার বিষয়টিকে আমি স্বাগত জানাই। পুতিনের যুদ্ধবাজ বাহিনীকে হেয় করা আমরা অব্যাহত রাখব।
ব্রাসেলসে ইইউ প্রতিনিধিরা নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে সই করেন। রাশিয়া সরকার ও হামলায় যুক্ত থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ২০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি বলেন, এ প্যাকেজের মাধ্যমে আমরা প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইইউ সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানায়, রাশিয়ার সামরিক শিল্প কমপ্লেক্সের অংশ এবং ইউক্রেনীয় শিশুদের পাচার ও অপহরণের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ওপর এ ধাপে নজর হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশের দুটি প্রতিষ্ঠানও এতে রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, সর্বশেষ দফায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো মূলত রাশিয়ার। তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠান ও একটি হংকং-ভিত্তিক কোম্পানিও তালিকায় রয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪