টোকিও, ২৭ জানুয়ারি – বোমা হামলার ৪৯ বছর পর আসামির সন্ধান পেল জাপানের পুলিশ। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজধানী টোকিওতে বেশ কিছু জাপানিজ কোম্পানিতে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইস্ট এশিয়া অ্যান্টি-জাপান আর্মড ফ্রন্ট (ইএএজেএফ) নামের এক সংগঠন। এই ঘটনায় সংগঠনটির বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে।
তবে ৪৯ বছর পর ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দাবি জানিয়েছেন সাতোশি কিরিশিমা নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ তালিকায় থাকা সিরিজ হামলাকারী বলে দাবি করেছেন।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ৭০ বছর বয়সী সাতোশি ৫০ বছর আগের সিরিজ হামলাকারী বলে দাবি করেছেন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে তিনি টার্মিনাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। টোকিওর কাছে একটি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি এ দাবি করেন। তবে ডিএনএ টেস্টের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত তাকে আটক করতে পারছে না দেশটির পুলিশ।
টোকিওর দক্ষিণে কানাগাওয়ার কামাকুরা শহরের একটি হাসপাতালে ছদ্মনামে ভর্তি হন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছে নিজের আসল নাম সাতোশি কিরিশিমা বলে জানান।
জীবনের শেষ মুহূর্তে আসল নাম ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন তাই নিজের পরিচয় ফাঁস করেছেন বলেও জানান সাতোশি। ক্যান্সারের কারণে তার বেঁচে থাকার জন্য মাত্র কয়েক মাস বাকি আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সাতোশি কিরিশিমা ইস্ট এশিয়া অ্যান্টি-জাপান আর্মড ফ্রন্টের (ইএএজেএফ) নামক এক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে এই সংগঠনটি জাপানের রাজধানীতে বেশ কিছু জাপানিজ কোম্পানির বিরুদ্ধে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।
ইএএজেএফ একটি উগ্র বামপন্থি সংগঠন, যা জাপানি রাষ্ট্র, কর্পোরেশন এবং জাপানি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মতাদর্শকে সমর্থন করেছিল।
সংগঠনটির বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজর সদর দপ্তরে বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে। যে হামলায় আট জন নিহত এবং ৩৮০ জন আহত হয়েছিল।
এছাড়া ১৯৭৫ সালের ১৮ এপ্রিল টোকিওর গিঞ্জা জেলায় বোমা স্থাপন ও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাতোশি। সেই বোমা হামলায় একটি ভবনের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।
সিরিজ বোমা হামলার অভিযোগে সাতোশিকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। দলটির অন্তত আরও দুই সন্দেহভাজন জাপান থেকে পালিয়ে গেছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৭ জানুয়ারি ২০২৪