এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া::
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটে প্রয়াত বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপ চাপায় আহত ভাই-বোনের চিকিৎসাখরচ নিশ্চিত করতে এবং নিহত পাঁচ ভাইয়ের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ হিসেবে ১৫কোটি টাকা দিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। আদালতে রিটের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান।
জানা গেছে, পিকআপ গাড়ি চাপায় আহত রক্তিম শীলের চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছেন পরিবার এ সংক্রান্তে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে পরিবারটিকে উলেখিত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বøাস্টসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস আদালতকে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ রক্তিমের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। তার চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে। এ সময় আদালত ক্ষতিপূরণের আবেদনটি সংশোধন করে দাখিল করতে বলেছেন। এছাড়া রিট আবেদনটি শুনানির জন্য মুলতবি রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ৮ ফেব্র“য়ারী ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় রক্তিম শীলের ভাই অনুপম শীল, নিরুপম শীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল ও স্মরণ সুশীল নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হয় আরো দুই ভাই রক্তিম শীল, প্লাবন সুশীল ও বোন হীরা শীল।
তাদের মধ্যে আহত রক্তিমকে ওই দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন রক্তিম শীল। এছাড়া তাদের বোন হীরা শীল মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি পা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
আহত রক্তিমের শ্যালক অনুপম শর্মা বলেন, দুলাভাইয়ের চিকিৎসার পেছনে এখন প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হচ্ছে, যা বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে তার বোন হীরা শীলও চিকিৎসাধীন রয়েছে। সরকারী-বেসরকারীভাবে অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু তা অপ্রতুল হওয়ায় আর্থিক সংকটে যথাযথ চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।