কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হলো ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। এই বাসে চড়ে ভ্রমণপিপাসুরা উপভোগ করছে পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।
ভ্রমণপিপাসুরা বলছেন, ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস কক্সবাজার ভ্রমণকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাবে। সারি সারি ঝাউগাছ, মাঝে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। যার দুপাশে রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। যা মুগ্ধ করে ভ্রমণপিপাসুদের। যার কারণে প্রতিদিনই এই মেরিন ড্রাইভে ভ্রমণে যান হাজারো ভ্রমণপিপাসু। ছাদখোলা বাসে একদিনের প্যাকেজে জনপ্রতি খরচ হবে আপার ডেকে ৭০০ টাকা আর লোয়ার ডেকে ৬০০ টাকা। যার টিকিট মিলবে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে।
পর্যটক মিনার চৌধুরী বলেন, অনেক আনন্দের এই যাত্রা। ছাদখোলা বাসে চড়ে একদিকে সাগরের গর্জন অন্যদিকে পাহাড়ে পাখির কলবর মুগ্ধ করছে। প্রথমবার ছাদখোলা বাসে চড়ে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ারটেক ও সাবরাং ভ্রমণ করছি।
মেরিন ড্রাইভে চালু হলো ছাদখোলা বাস।
মেরিন ড্রাইভে চালু হলো ছাদখোলা বাস।
পর্যটক দিদারুল আলম বলেন, ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে এসে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায় দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে একটি নতুন যাত্রা করে দেওয়ার জন্য। বেশ ভাল উপভোগ করছি।
বুধবার সকাল ১০ লাবণী পয়েন্টে থেকে শুরু হয় ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রা। যা গিয়ে থামে রেজুখাল পয়েন্টে। এরপর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় যাত্রা। মেরিন ড্রাইভের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ভ্রমণের পর যা গিয়ে থামবে টেকনাফের সাবরাংয়ে। এরপর পুরো দিন মেরিন ড্রাইভে কাটিয়ে সন্ধ্যায় আবারো ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে ফিরবে ভ্রমণপিপাসুরা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, যাত্রী চাহিদা বাড়লে আরো বাড়ানো হবে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। প্রথমদিকে ২টি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, আরো দুটি ট্যুরিস্ট বাস খুব শিগগিরই যুক্ত হবে। এই ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।