ঢাকা, ০৩ জানুয়ারি – নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবরুদ্ধ দশার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। সমালোচকদের দমিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
বিবৃতিটি গত সোমবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি বলেছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অস্বাভাবিক গতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম অধিকার সম্পর্কিত আদালতের মামলায় শম্বুকগতির সম্পূর্ণ বিপরীত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে শ্রম আইন ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
অ্যামনেস্টি মনে করে, দেওয়ানি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রসংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য ড. ইউনূসসহ তাঁর সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম শুরু করা শ্রম আইন ও বিচারব্যবস্থার একটি স্পষ্ট অপব্যবহার।
এটি ইউনূসের কাজ ও ভিন্নমতের জন্য তাঁর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি ধরন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে গত সোমবার ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি বলেছে, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অস্বাভাবিক গতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম অধিকার সম্পর্কিত আদালতের মামলায় শম্বুকগতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ০৩ জানুয়ারি ২০২৪