ইসলামবাদ, ২৯ ডিসেম্বর – নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ছাড়পত্র পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তার মনোনয়ন গ্রহণ করলো পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, নওয়াজ শরীফের প্রার্থীতা নিয়ে কমিশনের কোনও সদস্য আপত্তি করেননি। ফলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন নওয়াজ। তিনি দু’টি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলেও জানায় দেশটির নির্বাচন কমিশন।
তবে নওয়াজ শরীফের নির্বাচনে ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক নওয়াজ শরীফকে ভোট লড়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগ উঠেছিল নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, নিজ ছেলের সংস্থা থেকে আয় করতেন নওয়াজ। কিন্তু তিনি নির্বাচনী হলফনামায় সে কথা গোপন করেন। ফলে ২০১৭ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নওয়াজের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এরপরে লন্ডনে চার বছর নির্বাসনে ছিলেন নওয়াজ। চলতি বছর অক্টোবর মাসে তিনি দেশে ফেরেন। আদালতের নির্দেশ মতো আসন্ন নির্বাচনেও তার প্রার্থী হওয়ার কথা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল।
এদিকে নওয়াজের প্রার্থী হওয়ার খবরটি নিশ্চিত হতেই তার ভাই শাহবাজ শরিফ দেশটির গণমাধ্যমকে বলেন, আল্লাহর ইচ্ছা থাকলে চতুর্থ বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে নওয়াজ শরীফ। তার নেতৃত্বে আবারও অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হবে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নওয়াজ শরীফ পাকিস্তানের লাহোর এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মানসহরা শহর কেন্দ্র থেকে লড়তে চেয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। ৭৩ বছরের নওয়াজ শরীফের বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই মনোনয়ন গ্রহণের সিদ্ধান্তের পিছনে চক্রান্ত কাজ করেছে বলে দাবি তেহরিক-ই-ইনসাফের। তাদের বক্তব্য, এই নির্বাচনে ‘লন্ডন পরিকল্পনা’ কাজ করেছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩