শিরোনাম ::
কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু উখিয়ার শিক্ষক ইকবাল হত্যার ঘটনায় আটক-১ “নদী ভাঙ্গন ঠেকাও,কোনাখালী বাসীকে বাঁচাও” কক্সবাজারে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে জেপিটিটিসি’র হাউসকিপিং-প্লাম্বিং ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন উখিয়ার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতি! ঈদগাঁওতে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী নিহত সৌদি আরবে গ্যাস বিস্ফোরণে রামুর দুই যুবকের মৃত্যু, স্বজনদের আহাজারি
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উচ্ছিষ্ট খাবার দিয়ে কাপড়ে লিখে সাহায্য চেয়েছিলেন নিহত জিম্মিরা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
উচ্ছিষ্ট খাবার দিয়ে কাপড়ে লিখে সাহায্য চেয়েছিলেন নিহত জিম্মিরা


জেরুজালেম, ১৮ ডিসেম্বর – গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যরা ভুল করে নিজেদের তিন জিম্মিকে মেরে ফেলেছে। তারা মৃত্যুর আগে সাদা কাপড়ের ওপর উচ্ছিষ্ট খাবার দিয়ে চিহ্ন ও শব্দ লিখে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। কাপড়টি উদ্ধার করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সদস্যরা।

কাপড়টিতে ‘সাহায্য করুন’, ‘তিন জিম্মি’ এবং ‘এসওএস’ চিহ্ন লেখা ছিল বলে জানিয়েছেন আইডিএফ কর্মকর্তারা। মৃত্যুর আগে কোন এক সময় জিম্মিরা এটি লিখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি এই তিন যুবক বেশ কিছুদিন ধরেই একটি ভবনে অবস্থান করছিলেন বলেও ধারণা করছে আইডিএফ। তারা এটাও স্বীকার করেছেন যে, সাদা পতাকাধারী মানুষকে হত্যা করে সেনারাও ‘নিয়ম লঙ্ঘন’ করেছে। গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) গাজার উত্তরে শেজাইয়াতে অভিযানের সময় নিজেদের তিন জিম্মিকে ভুল করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) এবং অ্যালন শামরিজ (২৬) নামের ঐ তিন ইসরায়েলি যুবককে ধরে এনেছিল হামাস। স্থল অভিযানের সময় যখন এই তিন যুবককে গুলি করা হয়েছিল, তখন তাদের হাতে ঐ সাদা কাপড়টি ছিল।

এ ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হলেও হত্যার নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা। এছাড়া এখনও যেসব ইসরায়েলি নাগরিকরা হামাসের কাছে জিম্মি রয়েছে, সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে তাদেরকে মুক্ত করার জন্য তেল আবিব সরকারেও ওপর চাপ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অবরুদ্ধ গাজায় এখনও প্রায় ১২০ জন ইসরায়েলি হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এই তিনজনসহ অন্তত ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। ঐ হামলায় কমপক্ষে ১২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। হামলার ঘটনার পর প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

‘হামাসকে নিশ্চিহ্ন’ করার লক্ষ্যেই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এই অভিযানে ১৮ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩





আরো খবর: