ওয়াশিংটন, ২৫ নভেম্বর – গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি দিয়েছে ইসরায়েল। দুপক্ষের মধ্যকার আলোচনার ভিত্তিতে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) থেকে কাতারের মধ্যস্থতায় এ বিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি বাড়বে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন।
প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমি মনে করি বাস্তবে এর সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে এ যুদ্ধ কতদিন স্থায়ী হবে তা জানতে চাওয়া হয়। তবে এ সময় তিনি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, এ দলটিকে (হামাস) নির্মূল করা আইনসঙ্গত তবে মিশনটি অত্যন্ত কঠিন।
কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তিতেও মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে পারে। এ জন্য শর্তও রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি একদিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য হামাসকে ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। এরপর থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্নের নামে গাজায় নির্বিচারে হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পশ্চিম তীরের ২২৫ জন রয়েছেন।
অব্যাহত এ হামলার পর শুক্রবার কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল। তাদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় জিম্মি ৫০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৫ নভেম্বর ২০২৩