কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩ সুপারিশের অংশ হিসেবে দোকানপাট ও শুঁটকিমহালসহ বিভিন্ন ধরনের অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে জেটি ঘাট সংলগ্ন সৈকত এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
এছাড়া একইদিন পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীনের নেতৃত্বে আরো একটিদল সেন্টমাটিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ তিনটি হোটেল কিংশুক, নিঝুম ও গোধূলির মালিক পক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি একটি কটেজ নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগে এবং উচ্চস্বরে জেনারেটর চালানোর পাশাপাশি খোলা জায়গায় ময়লা- আবর্জনায় ফেলানোর ফলে তিনটি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকারী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩ সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সৈকত পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা, জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি পর্যটকেরা কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই বিচরণ করার জন্য আজ শুক্রবার সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা তৈরির অভিযোগে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেটিঘাট এলাকায় সড়কের প্রশস্তকরণ ও সৈকতের পর্যটকদের চলাচলে বাধাগ্রস্ত এমন শুঁটকি মহালসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই এলাকায় গড়ে তোলা ফিশারিজগুলোকে একটি পল্লীর মধ্যে আনার কাজও চলছে। এ অভিযান চলমান রয়েছে।মনিটরিং করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।