রিয়াদ, ১১ নভেম্বর – সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, এটি এমন এক মানবিক বিপর্যয়, যা ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্বৈতনীতির প্রমাণকে স্পষ্ট করেছে
তিনি বলেন, এখন শান্তির একমাত্র উপায় হলো- ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি স্থাপনের অবসান, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিষ্ঠিত অধিকার পুনরুদ্ধার এবং ১৯৬৭ সালের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) গাজা সংকট নিরসনে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শুরু হয়েছে জয়েন্ট আরব ইসলামিক এক্সট্রাঅরডিনারি সামিট। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু করেন।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনে আরব লীগ নেতাদের উদ্দেশে সৌদি যুবরাজ বলেন, গাজায় সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং সব জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
একই সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই তার দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা পালন করতে হবে, যাতে অবিলম্বে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে এই প্রতিহিংসামূলক যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায়।
তিনি বলেন, আমরা মার্কিন প্রশাসনকে ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং আমাদের পবিত্র স্থানের দখল ও সেখানকার পবিত্রতা লঙ্ঘন বন্ধের আহ্বান জানাই।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, আমাদের নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন এবং আমরা তা চাই। কেননা পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর পাশাপাশি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা প্রতিদিনই হামলা করছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এজন্য কোনো সামরিক ও নিরাপত্তা সমাধান গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এখানে সবই ব্যর্থ হয়েছে। গাজা বা পশ্চিম তীর থেকে আমাদের জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১১ নভেম্বর ২০২৩