নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া (কক্সবাজার)::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আবু ছৈয়দকে হত্যা করে পা কেটে নেওয়ার ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব। শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ কথা জানান।
গ্রেপ্তার তিন আসামিরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়ার নেজামুল ইসলাম মুজাহিদ, একই এলাকার আমিরুজ্জামান ও জামিল ইব্রাহিম ছোটন। নেজামুল ইসলাম মোজাহিদ পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াশিমের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে পেকুয়ার আফজলিয়া পাড়ায় আত্মগোপনে থাকা মামলার ২ নম্বর আসামি ও অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী নেজামুল ইসলাম মুজাহিদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বর্ণনায় তাঁরা জানিয়েছেন, হত্যার তিনদিন আগে আসামিরা মামলার প্রধান আসামী আলী আকবরের বাড়িতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। ১০ অক্টোবর বিকালে আবু ছৈয়দ তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা অস্ত্র নিয়ে সেখানে হানা দেন। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবু ছৈয়দকে গুলি করে ও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে আবু ছৈয়দ খাটের নিচে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে বের করে কোপানো হয়। যাওয়ার সময় আবু ছৈয়দের ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যান তাঁরা। হত্যায় ২৫ জনের একটি দল অংশ নেয়। ১১ অক্টোবর নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিছয় ৪/৫ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা করেন।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে থানায় হস্তান্তর করা হবে। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মামলার ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। পলাতক অন্য আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।