নিজস্ব প্রতিবেদক::
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্দা উঠছে ‘ওয়ালটন প্রথম রাখাইন ক্রীড়া উৎসব—২০২২’ এর। সকাল ১০টায় বাহারছড়া গোল চত্বরস্থ মুক্তিযোদ্ধা মাঠে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
রাখাইন ক্রীড়া সংস্থা কক্সবাজারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য ১৫ দিন ব্যাপী এই উৎসবের আয়োজনে থাকবে ক্রিকেট, ফুটবল, ফানুস উত্তোলন, জলকেলি, রাখাইনদের নিজস্ব খেলাধুলা, রাখাইন নৃত্য ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতায় প্রায় ১১টি দল অংশ নিচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে প্রাইজমানি ও ট্রফি দেওয়া হবে। এছাড়া টুর্নামেন্ট সেরা ও ম্যাচসেরার জন্য রয়েছে বিশেষ ক্রেস্ট।
উৎসবে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো— কক্সবাজার রাখাইন ফুটবল ক্লাব, ক্যাংপাড়া রাখাইন ক্রীড়া সংঘ, রাজধানী ফ্রেন্ডস সার্কেল, পশ্চিম বড় বাজার টাইগার্স, রাখাইন ফেসবুক ক্লাব, মহেশখালী বড় রাখাইন পাড়া ক্রিকেট একাদশ, চৌফলদন্ডী ক্রিকেট একাদশ, চৌফলদন্ডী মধ্যম রাখাইন পাড়া ক্রিকেট একাদশ, রেইনবো ওয়ারিয়র্স, বড় বাজার সুপার কিংস ও বড়বাজার রাখাইন চ্যালেঞ্জার্স।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের হলরুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, রাখাইন ক্রীড়া সংস্থার উপদেষ্টা সাংবাদিক এম.এ আজিজ রাসেল।
রাখাইন ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মং ছেন য়াইনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক জ জ রাখাইন জানান, রাখাইন বাংলাদেশে বসবাসরত একটি আদিবাসি জনগোষ্ঠী।
তিনি বলেন, ‘রাখাইন সম্প্রদায়ের রয়েছে হাজার বছরের পুরোনো সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু এই জনগোষ্ঠীর অনেকেই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চচার্য় পিছিয়ে রয়েছে। তাই পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নিতে ও দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিগত ৫ বছর ধরে কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের সামাজিক ও ক্রীড়ামূলক প্রতিষ্ঠান রাখাইন ক্রীড়া সংস্থা ও রাজধানী ফ্রেন্ডস সার্কেল যৌথভাবে প্রতিবছর রাখাইন ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করে আসছে। কিন্তু বিগত ২ বছর করোনা মহামারির কারণে এই আয়োজন বন্ধ ছিল। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আগামীকাল থেকে রাখাইন ক্রীড়া উৎসবের ৪র্থ আসর শুরু হবে। এবার প্রথম এই আয়োজনে স্পন্সর হিসেবে পাশে থাকছে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। এ জন্য তাদের রাখাইন ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আশা করছি প্রতি বছর তারা আমাদের পাশে থাকবে।’
এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে। রাইখন সম্প্রদায় নিয়ে এই প্রথম ওয়ালটন স্পন্সর করেছে। নৃগোষ্ঠীরা ও যেন খেলাধুলায় পিছিয়ে না থাকে তাই তাদের নিয়ে এই আয়োজন। আর মাদক ও অন্যান্য খারাপ প্রবৃত্তি থেকে তরুণ প্রজন্মকে দূরে রাখার জন্য খেলাধুলায় সারাদেশে স্পন্সর করে যাচ্ছে ওয়ালটন।’