শিরোনাম ::
পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু উখিয়ার শিক্ষক ইকবাল হত্যার ঘটনায় আটক-১ “নদী ভাঙ্গন ঠেকাও,কোনাখালী বাসীকে বাঁচাও”
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২৯০০

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২৯০০


রাবাত, ১২ সেপ্টেম্বর – এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনে। এছাড়া আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর মরক্কোর কিছু অঞ্চলের গ্রামবাসীরা সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গত শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১.১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির আঘাত হানা সবচেয়ে বড় এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই এবং সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তা প্রায় ২৯০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া হতাহতদের উদ্ধারসহ জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য মরক্কোর প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে স্পেন, ব্রিটেন এবং কাতারের অনুসন্ধান দল।

সোমবার গভীর রাতে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৬২ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬২ জনে। এছাড়া ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চলের বেশিরভাগই দুর্গম হওয়ায় নিখোঁজ মানুষের কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের আঘাতে টিনমেল গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘর ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এবং গ্রামবাসীদের সবাই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। গ্রামের বিভিন্ন অংশে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অসংখ্য মৃত পশুর দুর্গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।

৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মাদ আলহাসান জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি তার পরিবারের সাথে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। ভূমিকম্প শুরু হলে তার ৩১ বছর বয়সী ছেলে বাইরে পালিয়ে যায় এবং তাদের প্রতিবেশীর ছাদ ধসে পড়ায় সেখানে তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন।

আলহাসান বলেন, সাহায্যের জন্য চিৎকার করার পর তিনি তার ছেলের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু অবশেষে ছেলের কাছে পৌঁছালেও তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আলহাসান এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের বাড়িতেই ছিলেন এবং বেঁচে যান।

আলহাসান বলেন, ‘সে (ছেলে) যদি বাড়ির ভেতরেই থাকত তবে সে ঠিক থাকত।’

টিনমেল এবং অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, তারা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে উদ্ধার করেছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্প ছিল দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি মরক্কোতে গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩





আরো খবর: