বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় বিরোধের জেরধরে দিনদুপুরে আপন দুইভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে দিনদুপুরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

আহতরা হলেন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আম্মারডেরা এলাকার আবদুল গনির ছেলে আবু তাহের ও তার সহোদর ইউসুফ আলী।

গতকাল সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আবদুল হক পাড়া এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। এ ঘটনায় ইউসুফ আলী বাদী হয়ে গতকাল পাশের ঢেমুশিয়া আম্মার ডেরা এলাকার আলী আকবর, সজরুল ও কোনাখালী এলাকার হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি বাহাদুর আলমের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

আহত ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের পৈতৃক জমি থেকে ভাইবোন সাতজনের অংশের ১ একর ৫শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে থেকে চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ সোমবার সকালে আলী আকবর আমার জমিতে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক ধান রোপণ করতেছে। খবর পেয়ে চাষাবাদে বাঁধা দিলে আলী আকবর ও তার ছেলে সজরুলের নেতৃত্বে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি বাহাদুর আমাদের উপর হামলা শুরু করে। এতে আমার বড় ভাই আবু তাহের ও আমাকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখম করে।

ঘটনার পর পর স্থানীয় চৌকিদার মোজাম্মেল ও স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার স্থানীয় এমইউপি সেকাব উদ্দিনকে সরেজমিনে তদন্ত করে বিচার মিমাংসার দায়িত্ব দেন।

জানতে চাইলে কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের এমইউপি সেকাব উদ্দিন বলেন, দুই ভাইয়ের জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি মিমাংসার জন্য আজকে (সোমবার) বিকেলে বিচারের সময় নির্ধারণ ছিল। বিচারের পূর্বেই আলী আকবর জোরপূর্বক ধান চাষ করতে গেলে, স্থানীয় চৌকিদারকে দিয়ে চাষাবাদ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিই। ইউনিয়ন পরিষদের নির্দেশ অমান্য করে আলী আকবর এই ঘটনা সংঘটিত করেছে।

কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, জমি বিরোধ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আহত দুই ভাই ইউসুফ ও আবু তাহের রক্তাক্ত অবস্থায় আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিই।

চকরিয়া থানার আওতাধীন মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বলেন, কেনাখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় এজাহার পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##


আরো খবর: