বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারের কলাতলীর কটেজ জোনে পর্যটক ধর্ষণকারী হারবদল গ্রেপ্তার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কক্সবাংলা রিপোর্ট :: কক্সবাজারের কলাতলীর কটেজ জোনে এক পর্যটককে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম আসামি মনিরুল ইসলাম প্রকাশ হারবদলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫।

গ্রেপ্তার হারবদল কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার মো. নুর আহম্মদের ছেলে।

র‌্যাব-১৫’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের কলাতলীর কটেজ জোনে ঢাকা থেকে আগত এক পর্যটক জোরপূর্বক গণধর্ষণের শিকার হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও তার তিন বান্ধবী ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। ভুক্তভোগীর বান্ধবীদের পূর্বপরিচিত এক লোকের সঙ্গে তারা এই ভ্রমণে আসেন। কক্সবাজার এসে তারা কলাতলী সড়কের সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল মেরিন প্লাজায় কক্ষ ভাড়া নেন।

পরে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ও তার এক বান্ধবী হোটেল থেকে বের হয়ে বীচে যাওয়ার সময় সুগন্ধা পয়েন্টে কাকঁড়া খাওয়ার জন্য যায়।

পরবর্তীতে ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে হোটেল মেরিন প্লাজা ও সুগন্ধা রোডের মাঝামাঝি পৌঁছালে মামলায় বর্ণিত আসামীরা একটি অজ্ঞাত নাম্বারের অটোরিকশা যোগে এসে তাদের গতিরোধ করে। অতঃপর তাদের জোরপূর্বক অটোরিকশা করে রাজন কটেজে তুলে নিয়ে যায়।

সেখানে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে আটকে রাখে এবং ভুক্তভোগী পর্যটককে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।

পালাক্রমে গণধর্ষণ ফলে ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ঘটনার পর দিন অর্থ্যাৎ ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় ওই দুই পর্যটককে বাস টার্মিনাল নিয়ে গিয়ে চট্টগ্রামগামী মারসা গাড়িতে তুলে দেয়। পরে বাস রামু পৌঁছালে বাদী অসুস্থ হয়ে বাস থেকে নেমে গেলেও অপরজন কক্সবাজার ত্যাগ করেন।

এরপর ভুক্তভোগী রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। পরে রামু হাসপাতালের চিকিৎসকরা পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ ওই কিশোরীকে হেফাজতে নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পরে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এবং স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনার পরপরই র‌্যাব-১৫ এর সম্মানিত অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেনের নির্দেশে পলাতক অভিযুক্ত ধর্ষকদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও তাদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে মাঠে নামে র‌্যাব।

অনুসন্ধানের একপর্যায়ে র‌্যাব নিশ্চিত হতে পারে যে, মামলার এজাহারে উল্লিখিত ২নং আসামী হারবদল এর নাম প্রকৃতপক্ষে মোঃ মনিরুল ইসলাম (৩৫)।

র‌্যাব আরো জানতে পারে, মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে হারবদল কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনারপাড়া এলাকার মোঃ নূর আহম্মদের পুত্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার সময় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল রামুর রাবার বাগান এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে এবং আসামী মনিরুল ইসলাম ওরফে হারবদলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত হারবদল উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে গণধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব-১৫’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী আরও জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরো খবর: