সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পত ছিল বলে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। দেড় বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের রায় পড়ার শুরুতে এমন পর্যবেক্ষণ দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
সোমবার দুপুর আড়াইটার পর সিনহা হত্যার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। তার আগে দুইটার দিকে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে কক্সবাজার আদালতে আনা হয়। পরে লাইন ধরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় এজলাস কক্ষে, দাঁড় করানো হয় কাঠগড়ায়।
আসামিদের উপস্থিতিতেই বেলা আড়াইটার কিছু আগে এজলাসে বসেন বিচারক। আসামিদের নাম ডাকার পর শুরু করেন তাদের সামনেই ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ। আধা ঘণ্টা সারসংক্ষেপ পড়ার শুরুতে বিচারক পর্যবেক্ষণ দেন। পর্যবেক্ষণে সিনহা হত্যার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে জানান বিচারক।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে সিনহাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় এলিট ফোর্স র্যাব। চার মাস দশ দিন পর একইবছরের ১২ ডিসেম্বর কক্সবাজার আদালতে ২৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা।
সিনহা হত্যায় অভিযুক্ত করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের নয় সদস্যকে। এছাড়াও এপিবিএনের তিনজন এবং পুলিশের সোর্স তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল ছাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসাইন আজাদ, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও কনস্টেবল সাগর দেব। আর এপিবিএনের তিনজন হলেন- এসআই মো. শাহজাহান আলী, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কনস্টেবল রাজিব হোসেন। এছাড়া পুলিশের মামলার সাক্ষী ও পুলিশের সোর্স টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ আয়াছ ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়।
ঢাকাটাইমস২৪