ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়া:
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তরের দশম ধাপে গতকাল চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ১২৮৮জন রোহিঙ্গা। আজ সকালে সেখান থেকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
রবিবার(৩০জানুয়ারি) দুপুরে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প হতে ৭১৮ রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৩টি বাসের সাথে একটি এক্সট্রা খালি বাস,এ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিকেলে আরও ১৫টি বাসযোগে ৫৭০জন রোহিঙ্গা উখিয়া ডিগ্রী কলেজ অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সাথে নিরাপত্তা বহর সহ এক্সট্রা বাসও রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১৪এপিবিএন অধিনায়ক মো. নাইমুল হক।
দশম ধাপের প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয় রোহিঙ্গাদের বহর। পরে তাদেরকে চট্টগ্রাম থেকে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যায়।
রোহিঙ্গাদের বিশাল বহরের সামনে ও পেছনে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।দশম দফার প্রথম পর্যায়ে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন রোহিঙ্গারা। ভাসানচর থেকে অনেকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উখিয়ার ক্যাম্পে স্বইচ্ছায় বেড়াতে এসে আবার ফিরে যেতে দেখা যায়।
বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাঝিরা জানান, স্বেচ্ছায় রাজি হয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচর গিয়ে সেখানকার পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জানালে যারা যেতে রাজি হয়েছে তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে ভাসানচর স্থানান্তর করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। পরে সব প্রক্রিয়া শেষে প্রটোকলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জাহাজে করে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দেখা যায়, নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ভাসানচর স্থানান্তরে রাজি হওয়া রোহিঙ্গারা তাদের আত্নীয় স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে আবেগঘন মুহুর্ত লক্ষ্য করা যায়। তারা একে অপরের সাথে বিদায়ী কুশল বিনিময় করেন। আবার অনেকে ভাসানচর যেতে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যায়।