মিরসরাইয়ে বাবা-মা ও ভাইকে হত্যার ঘটনায় বড় ভাই সাদেক হোসেন প্রকাশ সাদ্দামকে (৩০) একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছে ছোট বোন বিবি জুলেখা। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জোরারগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাদেক হোসেন সাদ্দাম তার বাবা, মা ও ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে বলেছে, এই খুনের পরিকল্পনা ১৫ দিন আগে নিয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরের বায়েজিদ এলাকা থেকে বুধবার সকালে একটি ছুরি কিনে বাড়িতে যায়।
আরও পড়ুন: এক ঘরেই ৩ খুন—মিরসরাইয়ে মা-বাবা-ছোট ভাইকে গলা কেটে হত্যা
বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৪টার দিকে সবাই যখন গভীর ঘুমে, তখনই মা-বাবার কক্ষে ঢুকে সাদেক হোসেন। ঘুমন্ত অবস্থায় বাবাকে ধারাল ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে সে। এরপর মাকে। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মা-বাবাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে।
মা-বাবার চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে ঘুমে থাকা মেঝ ভাই আহমদ হোসেন ছুটে আসে। তখন আহমদ হোসেনকে জাপটে ধরে তার গলায় ছুরি চালায় সাদ্দাম। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনজন।
এদিকে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বাদ জুমা উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ছুটি খাঁ জামে মসজিদের সামনে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন, বাজার ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী। সাদেক হোসেন সাদ্দামের ফাঁসির দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়।
নিহত মো. মোস্তফার ছোট ছেলে আলতাফ হোসনে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বলেন, বাবা, মা আর ভাইয়ের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। ময়নাতদন্ত শেষে আজ রাতে (শুক্রবার) বাড়িতে নিয়ে দাফন করবো। গ্রামে কবর খুঁড়ে রাখা আছে। তিনি এ ঘটনায় ঘাতক বড় ভাই সাদেক হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুর হোসেন মামুন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘাতক সাদেক হোসেন সাদ্দাম বাবা, মা ও ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।