ইসলামবাদ, ০৫ আগস্ট – পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান খানের (৭০) বিরুদ্ধে রায় বিশেষজ্ঞদের মনে নানান ধারণার জন্ম দেয়। বিচারক হুমায়ুন দেলোয়ার শনিবার পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক লাখ রুপি জরিমানাসহ তিন বছরের কারাদণ্ড দেন এবং অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তারপরই রায় নিয়ে শুরু হয় কথার ঝড়। এ প্রসঙ্গে কথা বলার সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে বিচারক তার রায় আগেই লিখে রেখেছেন। শনিবার সকালের ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন।’ জিও নিউজ।
মামলাটি প্রশ্নবিদ্ধ করে অনেককেই। মীর বলেন, ‘আজকের রায় অপ্রত্যাশিত ছিল না। প্রতিটি পাকিস্তানি জানত যে এই রায় হবে।’ আরও বলেন, ‘আদালত যেভাবে মামলা পরিচালনা করেছেন এবং এ বিষয়ে বিচারকের আচরণ যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।’ ‘শুধু প্রধানমন্ত্রীরা শাস্তি পান, কিন্তু যারা সংবিধানকে চূর্ণ করে তারা সংকটমুক্ত হয়ে চলে যায়’, মীর মন্তব্য করেন।
সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনসার আব্বাসি এই রায়কে একটি ‘বড় সিদ্ধান্ত’ ও ‘শক্তিশালী মামলা’ হিসাবে অভিহিত করেন। এটি শক্তিশালী মামলা ছিল। কারণ সব সংসদ-সদস্যকে প্রতিবছর প্রকাশ্যে সম্পদ ঘোষণা করতে হয়।
কোনো গরমিল হলেই এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আব্বাসি আরও বলেন, খান ও তার আইনজীবীরা এই সত্যটি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তাই তারা প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শুনানি বন্ধ করার চেষ্টা করেন।
এদিকে আরেকজন সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহজাইব খানজাদা বলেন, রায়টি খুব তাড়াতাড়ি ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ কিছু পিটিশন এখনো আইএইচসিতে মুলতবি রয়েছে। তিনি যোগ করেন, যদি ইসলামাবাদের হাইকোর্ট (আইএইচসি) এখনো সিদ্ধান্ত নেয় যে বিচারককে সাক্ষীর বক্তব্য বিবেচনা করা উচিত তাহলে বিচার আবার শুরু করা হবে। তবে যেহেতু রায় ঘোষণা করা হয়েছে তাই এটি কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ০৫ আগস্ট ২০২৩