শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে ব্যাপক ভাঙন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

আব্দুস সালাম, টেকনাফ::

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে সড়কে ভাঙন ধরেছে। ছোট-বড় ১০টি স্পটে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভেঙে যাওয়া অংশ এখনই মেরামত করা না হলে ব্যাপক ভাঙনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সড়কে ভাঙন ধরেছে। ছোট-বড় ১০টি স্পটে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভেঙে যাওয়া অংশ এখনই মেরামত করা না হলে ব্যাপক ভাঙনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহম্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার প্রায় ৬০ মিটার সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গেছে। এছাড়া গত দুই দিনে টেকনাফের বাহারছড়া, হাদুরছড়া, দক্ষিণ মুন্ডার ডেইল এলাকায় দশটি স্পটে মেরিন ড্রাইভে নতুন করে ভেঙে গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সড়ক রক্ষাকবজ জিও ব্যাগ দুর্বল হয়ে গেছে। এরই মধ্যে সড়কটিকে গ্রাস করছে সমুদ্র। আইন অমান্য করে মেরিন ড্রাইভের কাছ থেকে অনেকে বালু তুলে জমি ভরাট করেছে। এ কারণে সাগরে সামান্য পানি বাড়লেও এ রুটে ভাঙন দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, এর আগে কখনও এভাবে ভাঙন ধরেনি মেরিন ড্রাইভে। সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বড় বড় ঢেউ এসে আঁচড়ে পড়ে মেরিন ড্রাইভে। জিও ব্যাগ টপকে ঢেউগুলো সড়কে উঠেছে। যার কারণে সড়কটিতে ভাঙন ধরেছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাগরের জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি। মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি স্পটে ভাঙন ধরেছে। তবে ভাঙন রোধে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করছে। খুব কম সময়ে এই সমস্য সমাধান হবে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে মেরিন ড্রাইভের বেশ কয়েকটি স্পটে ব্যাপক ভাঙন ধরেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারের ভাঙন ব্যাপক। ইতি ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রের তীর ধরে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন হয় ২০১৭ সালের ৬ মে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে ১৯৯১-৯২ সালে সড়ক প্রকল্পটি গ্রহণের পর থেকেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন হলেও নির্মাণ তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোর। নয়নাভিরাম সড়কটি দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।


আরো খবর: