শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সংসদীয় কমিটির নবনির্মিত কক্সবাজার রেলস্টেশন ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩

জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বিষয়টি মাথায় রেখে জনগণের সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মিতব্যয়িতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্প পরিদর্শন করা হচ্ছে।

রবিবার (৩০ জুলাই) ও সোমবার (৩১ জুলাই) নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন এবং মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প পরিদর্শন করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি মিতব্যয়িতা, কার্যকারিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পাদনের সুপারিশ করেন।

কমিটির সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পরিদর্শনে অংশ নেন। তারা কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু স্টেশন পর্যন্ত ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণকাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

সোমবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ-১) মো. রাশেদ মিজানের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন প্রকল্পের পরিচালক স্টেশনে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একটি শপিং মল, ফুড কোর্ট, লকার ও শাওয়ার ফ্যাসিলিটিজ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে কমিটির সদস্যদের জানান।

পরিচালক বলেন, কক্সবাজার সি-বিচকে বিবেচনায় নিয়ে শহরের সঙ্গে একটি শাটল রেলওয়ে এবং পাঁচ হাজার লোকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে দুটি মডিউলে এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা কনফারেন্স হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিদ্যুৎ বিভাগের কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প কমিটি কর্তৃক পরিদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে যায় প্রথম ইউনিট।

প্রকল্প পরিচালক আগামী ডিসেম্বর নাগাদ প্রথম ইউনিট থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ইউনিটের মাধ্যমে আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে মর্মে কমিটির সদস্যদের জানান।

এ সময় কমিটি থেকে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতিতে শুধু পিপিপি/পিপিআরের ধারা বাস্তবায়ন নয় বরং এটাকে সাশ্রয়ী করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রকল্পের প্রকিউরমেন্টের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

কমিটির সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, কমিটি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিদর্শন হলো একটি জাগরণী ডাক। এর মাধ্যমে পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়।

প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সভাপতি ও কমিটির সদস্যরা প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় দেশপ্রেমের চেতনা ধারণ করে প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলেন কমিটি সদস্যরা।


আরো খবর: