খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সদরের শাপলা চত্বর ও আশপাশ এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকলে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়।
সকাল সাড়ে ১০টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলতে থাকে এ সংঘর্ষ। পুলিশ টিআর সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়ে আনার চেষ্টা চালায় । এতেও থামানো যায়নি সংর্ঘষ । প্রথম দফায় আওয়ামী লীগ পৌর শাপলা চত্বর দখল করলেও পরে বিএনপির র্কাযালয় থেকে নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়ে বের হয়ে পৌর শাপলা চত্বর দখলে নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে শহরের দোকানপাট এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো।
ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফান উদ্দীনকে হ্যান্ডমাইক সহকারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা চালাতে দেখা যায়। দুপুর ১২টার দিকে বিজিবি মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সংর্ঘষ থামার পর পুলিশ সুপার নাঈমুল হক গাড়ি নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এ সময় সাংবাদিকরা তার সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে তিনি সাক্ষাতকার দেননি।
জেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মল চৌধুরী বলেন, তাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া তারা পৌরসভা কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
এদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মফিজুর রহমান জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ হামলা করে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। বিএনপির কার্যালয়েও হামলা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।