শিরোনাম ::
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন সালমান মুরগির বাচ্চায় প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা ‘লুট’, খামার বন্ধের হুঁশিয়ারি সংবিধানে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ রাখাসহ আরও যেসব প্রস্তাব বিএনপির কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে অপহরণ ও ধর্ষন মামলায় পিতাসহ ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন চকরিয়ার দায়িত্ববার নিয়েছেন নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমান, বিদায়ী ইউএনও কক্সবাজারস্থ শরনার্থী কমিশনে চকরিয়ায় সুরাজপুরে সড়কের উপর বন্যহাতির আক্রমণে দুই পথচারী আহত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, চাকরিতে পূর্ণবহালসহ চার দফা দাবি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা: আপত্তি জানাল জার্মানি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা: আপত্তি জানাল জার্মানি


বার্লিন, ১৩ জুলাই – ক্লাস্টার বা ছররা বোমা। এই বোমা ফাটালে একসঙ্গে অনেক মানুষকে আঘাত করা যায়। বোমার ভিতর রাখা অসংখ্য স্প্লিন্টার চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়ে শত্রুকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইউক্রেনকে এই ধরনের ক্লাস্টার বোমা দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জার্মানি এতে আপত্তি জানিয়েছে।

২০০৮ সালে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার যাতে না হয়, তার জন্য একটি চুক্তি হয়েছিল। জার্মানি সেই চুক্তির অন্যতম দেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, এই ধরনের বোমা বেসামরিক মানুষের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ, এই বোমা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে না। চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। ফলে এই বোমা ব্যবহার করলে বহু মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন এবং সেখানে বেসামরিক মানুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন।

রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু জায়গায় রাশিয়ার সেনা ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এবার সেই ক্লাস্টার বোমা ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

ক্লাস্টার বোমা বিরোধী চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র নেই। ফলে ইউক্রেনকে এই ধরনের বোমা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আইনি সমস্যা নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর অংশ। ন্যাটো ইউক্রেনকে কোনো অস্ত্র দিলে সেখানে ন্যাটোর সব দেশের সবুজসংকেত প্রয়োজন। ফলে জার্মানি সমস্যায় পড়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস অবশ্য বিষয়টি থেকে দূরত্ব তৈরির কৌশল নিয়েছেন। বুধবার বার্লিনে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ক্লাস্টার বোমার পক্ষে সওয়াল করেছে।

জার্মানি যে অবস্থান নিতে চলেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম দেশ। ইউক্রেনকে ব্যক্তিগতভাবে তারা এই বোমা দিচ্ছে। জার্মানি এই বোমা সমর্থন করে না ঠিকই, কিন্তু তারা নিষেধ করার জায়গাতেও নেই।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে কী ধরনের অস্ত্র দেওয়া হবে, তা নিয়েও রীতিমতো সমস্যায় পড়েছিল জার্মানি। প্রাথমিকভাবে জার্মানির অভিমত ছিল কেবলমাত্র রক্ষণাত্মক অস্ত্রই দেওয়া হোক ইউক্রেনকে। পরে অবশ্য তারা আক্রমণাত্মক অস্ত্রও দিয়েছে। এবার ক্লাস্টার বোমা নিয়ে সেই একই সমস্যায় পড়েছে জার্মানি।

ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন মতো অস্ত্রের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র তৈরির সবচেয়ে বড় দেশ। তারাও ইউক্রেনকে অস্ত্র জোগান দিয়ে উঠতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ক্লাস্টার বোম দিতে চাইছে ইউক্রেনকে। কারণ এই বোমা একসঙ্গে অনেককে ঘায়েল করা যায়। ইউক্রেনও এই বোমা পেতে উৎসাহী।

সাম্প্রতিক ন্যাটোর সম্মেলনে জার্মানি ইউক্রেনের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্রের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই অস্ত্র কতদিনে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়াকে পরাস্ত করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের অস্ত্র প্রয়োজন।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ১৩ জুলাই ২০২৩





আরো খবর: