কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী থেকে ছিনতাই হওয়া ১৬ দশমিক ৪৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ এক হাজার টাকা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) রাতে শহর ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার র্যাব-১৫- এর সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, কক্সবাজার শহরের বড়বাজার এ. ছালাম মার্কেটের তরুলতা জুয়েলার্সের মালিক মিশু দে এবং তার কারিগর সৌরভ ধর ২৩ জুন বিকেলে ঈদগাঁও বাজার থেকে স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ টাকাসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে শহরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া বটতলী এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে ৩২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১১ লাখ টাকা ছিনতাই করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তিনজনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মো. আবু সালাম চৌধুরী আরও বলেন, বিষয়টি র্যাবের নজরে আসার পর ঘটনায় জড়িত চক্রটিকে গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে র্যাব-১৫ এর একটি দল এজাহারনামীয় তিন নম্বর আসামি জাহেদকে রোববার রাতে চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহেদ জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহেদ, রাসেল, রবি এবং ফরহাদসহ মোট ৫ জন জড়িত থাকার তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল, রবি ও ফরহাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে জাহেদ (২৭), একই এলাকার জাফর আলমের ছেলে মো. ফাহাদ (৩০), ঈদগাঁও উপজেলার সওদাগর পাড়া এলাকার নুর আলমের ছেলে রাসেল (২৪), ও রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার খেতিস ধরের ছেলে রবি ধর (৩৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীদের অনুসরণ করে আসছিল এবং আসামি রবি ধর মূলত ওই ঘটনার তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সংঘঠিত হয়। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি শাহেদকে গ্রেপ্তারে র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের নামে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।