লন্ডন, ১০ জুলাই – বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেন এখনই ন্যাটোর সদস্য হতে প্রস্তুত নয়। ইউরোপ সফর শুরু করেছেন বাইডেন। যোগ দেবেন ন্যাটো বৈঠকে। বাইডেন প্রথমে গেছেন লন্ডন।
সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও রাজা চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন। চার্লসের সঙ্গে তার আলোচনা হবে মূলত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। সোমবার রাতে তিনি যাবেন লিথুয়ানিয়ায়। সেখানেই এবার ন্যাটো বৈঠক হবে।
এরপর বাইডেনের ফিনল্যান্ড যাওয়ার কথা আছে। ফিনল্যান্ডই ন্যাটোর নতুন সদস্য হয়েছে।
ন্যাটো বৈঠকে এবার ইউক্রেন ও সুইডেনের সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সুইডেনকে ,সদস্য করতে তুরস্ক রাজি নয়।
আর ন্যাটোর নিয়ম হলো, সমস্ত দেশ রাজি না হলে কোনো নতুন দেশ সদস্য হতে পারে না।
ন্যাটো সদস্য হওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রবলভাবে চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য ইউক্রেন এখনো প্রস্তুত নয়। তিনি সিএনএন-কে বলেছেন,‘আমার মনে হয় না, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ বাইডেনের এমন মন্তব্যের পর ইউক্রেনের সদস্য হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তবে বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেন যাতে ন্যাটোর সদস্য হতে পারে, তার জন্য ন্যাটোর নেতারা একটা যুক্তিসঙ্গত পথ তৈরি করবেন। ন্যাটোর সদস্য হতে গেলে সবকটি শর্ত পূরণ করতে হবে ইউক্রেনকে। সম্পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বিষয় আছে।
বাইডেন বলেছেন,‘ইউক্রেনকে ন্যাটোর মধ্যে নিয়ে আসার অর্থ হলো, রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার জন্য আরো কিছুটা সময় লাগবে। ইউক্রেনকে আশ্বস্ত করে বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের সব ধরনের সাহায্য করে যাবে। ইসরায়েলকে যেভাবে সাহায্য করা হয়, সেভাবেই ইউক্রেনকে সাহায্য করা হবে।’
এদিকে লন্ডনে আসার আগে বাইডেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বাইডেন তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায়, সুইডেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ন্যাটোয় যোগ দিক।
বাইডেনকে এর্দোয়ান বলেছেন, তার জন্য সুইডেনকে ঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই তুরস্ক তাদের সমর্থন করবে। সুইডেন এখনো পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। পিকেকে সমর্থকেরা এখনো সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের দাবি, পিকেকে-কে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ১০ জুলাই ২০২৩