কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ জন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের আটকে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, আব্দুল হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ ফোরকান (২৩), খাইরুল বশর এর ছেলে মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯), মৃত ফকির আহমদের ছেলে বি রহমান (৩৪) এরা তিনজন উখিয়ার বালুখালী ৮ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। উখিয়ার ৯ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোস্তাক আহমেদ এর ছেলে এনাম উল্লাহ (২৩), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শাকের উল্লাহর ছেলে এবাদত উল্লাহ (২৫), উখিয়ার ১০ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাকের এর ছেলে আরিফ উল্লাহ (৩০)।
৮ -এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ জানান, ৭ জুলাই গুলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের আটকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এইসময় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৭ জুলাই ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে দুষ্কৃতকারীদের দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-৮ ডাব্লিউ এর এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১০ এর এইচ ৪২ ব্লকের নজিবুল্লাহ, ক্যাম্প-৩ এর বি-১৭ ব্লকের নুর আমিনও অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
রোহিঙ্গারা জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে কিছু দিন ধরে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই সূত্রে ধরেই ভোরে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলে। এতে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বক্তব্যে আরসা ও আরএসও নামে দুটি বিবদমান গ্রুপের নাম উঠে এসেছে।
৮এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন,” সকাল ৬টার দিকে ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীদের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনজনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই রোহিঙ্গা যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
৮ -এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, ক্যাম্পে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বাড়ছে খুনোখুনি। যারাই অপরাধে জড়াবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।