কিয়েভ, ০৬ জুলাই – ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি ও কৃষ্ণসাগরের শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার (৭ জুলাই) তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) আনাদোলু নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই নেতা সরাসরি আলোচনার পাশাপাশি আন্তঃপ্রতিনিধি দলের বৈঠকেও যোগ দেবেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এরপরই তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দেশ দুইটির মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এর আওতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে নিরাপদে খাদ্য রপ্তানি করতে পারে ইউক্রেন।
বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু রাশিয়া এই চুক্তির মেয়াদ নবায়ন না করার হুমকি দিচ্ছে বারবার। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফরের খবর এল।
এদিকে গত মাসে রাশিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এখন আর বেলারুশে নেই। তিনি বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেনকো নিশ্চিত করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়াকে সমর্থন করা ওয়াগনার গ্রুপ গত মাসে হঠাৎ করেই রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। সে সময় ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ে রুশ সেনাদের সমর্থনের বদলে তারা রুশ বাহিনীর ওপরই পাল্টা আক্রমণ চালায়।
মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই ওয়াগনার গ্রুপের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন ইয়েভজেনি। এসব ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, রাশিয়া বাখমুতে তাদের ওপর নির্ভর করলেও তাদের কোনোরকম সাহায্য করা হচ্ছে না। ফলে গোলাবারুদের অভাবে তার বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু হচ্ছে।
তাছাড়া ওয়াগনারের বিদ্রোহের সময় একটি ভিডিওতে এই গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন এলাকার সামরিক দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তারপর থেকেই তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৬ জুলাই ২০২৩