ঢাকা, ২০ জুন – আজ ২০ জুন (বুধবার), বিশ্ব শরণার্থী দিবস। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সহিংসতা, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বাড়ছে। যার প্রভাবে দেশে দেশে শরণার্থী কিংবা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়ে নিয়েছে।
উদ্বাস্তু বা শরণার্থীদের অধিকার, তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা, নিপীড়ন, অত্যাচার ও দুর্দশার কাহিনি স্মরণে ২০ জুন এ দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি নানা আঙ্গিকে পালন করা হয়।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বে উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর সংখ্যা ৮ কোটি ৯৩ লাখ, যা ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্বাস্তুদের মধ্যে ২ কোটি ৭১ লাখ শরণার্থী। বাকিদের কেউ রাষ্ট্রহীন, কেউ আশ্রয়প্রার্থী, কেউ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ। আর এই অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। শরণার্থীদের মধ্যে সিরিয়া ২৭ শতাংশ, ভেনিজুয়েলা ১৮ শতাংশ, আফগানিস্তান ১১ শতাংশ, দক্ষিণ সুদান ৯ শতাংশ এবং মিয়ানমার থেকে ৫ শতাংশ থেকে আগত। এছাড়া ৩০ শতাংশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আগত শরণার্থী।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ মাত্র ১৭ শতাংশ, মধ্যম আয়ের ৪০ শতাংশ, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ২১ শতাংশ এবং নিম্ন আয়ের দেশ ২২ শতাংশ। তবে বেশিরভাগ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে (৭২ শতাংশ)। বর্তমানে বাংলাদেশে বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক বা রোহিঙ্গা রয়েছে প্রায় ১২ লাখ।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২০ জুন ২০২৩